লিবিয়ায় সালমানের বাবা ও ছোটভাই গ্রেফতার
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে পপ কনসার্টে আত্মঘাতী হামলায় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী সালমানের ভাই ও বাবাকে লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাজ্য পুলিশ।
লিবিয়ার কাউন্টার-টেরোরিজম বাহিনীর এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেট (আইএস)-র সঙ্গে জড়িত ও লিবিয়ার রাজধানীতে হামলার পরিকল্পনা করার সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করেছে ত্রিপোলির পুলিশ। সালমানের বাবার নাম রামাদান ও ছোট ভাইয়ের নাম হাশেম। এর আগে মঙ্গলবার সালমানের বড় ভাই ইসমাইলকে ম্যানচেস্টারে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সালমান আবেদীকে তারা আগে থেকে চিনতেন। ম্যানচেস্টারে জন্মগ্রহণকারী আবেদি স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করতো। এরপর সালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে ভর্তি হয় সে। কোর্স শেষ করার আগেই সে ঝরে পড়ে। বেশ কয়েকবার লিবিয়ায় আসা-যাওয়া করেছে সে। লিবিয়া ভ্রমণের সময় সালমান উগ্রপন্থায় জড়িত হয়েছে কিনা, তা মাথায় রেখে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার হামলায় জড়িত সন্দেহে ৬ষ্ঠ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নর্থ ম্যানচেস্টারের ব্ল্যাকলি থেকে এই সন্দেহভাজন নারীসহ এ পর্যন্ত মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সদর দফতরে ম্যানচেস্টার পুলিশ প্রধান জানান, তারা হামলায় জড়িত একটি চক্রকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছেন।
গত সোমবার রাতে ম্যানচেস্টারে একটি কনসার্টে বোমা হামলায় নিহত হন ২২ জন। আহত হয় কমপক্ষে ৫৯ জন। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। ঐ কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ড। তবে হামলায় তাঁর কোনো ক্ষতি হয়নি। এদিকে হামলার পর দায় স্বীকার করে বার্তা দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আত্মঘাতী হামলাকারীর নাম সালমান রামাদান আবেদি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০০৫ সালের ৭ জুলাই যুক্তরাজ্যে চালানো সন্ত্রাসী হামলার পর এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের আত্মঘাতী হামলা। ২০০৫ সালের ঐ হামলায় ৫২ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই